মেহেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের প্রতিশ্রুতিশীল অধিনায়ক সুস্মিতা খাতুন আর নেই। মাত্র ষোলো বছর বয়সেই শেষ হলো এই প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদের জীবনযাত্রা। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সুস্মিতা মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। খেলাধুলায় তিনি শুধু ফুটবলেই নয়, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টনেও জেলা পর্যায়ে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। অল্প বয়সেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন জেলার ক্রীড়াঙ্গনের এক উজ্জ্বল তারকা।
আত্মহত্যার চেষ্টা থেকে মর্মান্তিক মৃত্যু
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস আগে সুস্মিতা ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সেদিন গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে তার কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবশেষে সেই জটিলতাই তার প্রাণ কেড়ে নেয়।
শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়াঙ্গনে
সুস্মিতা ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নাতনি। তার মৃত্যুতে শুধু পরিবার নয়, হরিরামপুর গ্রাম, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জেলার সমগ্র ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোক।
সহপাঠীরা জানায়, সুস্মিতা ছিলেন প্রাণবন্ত ও মেধাবী ছাত্রী। খেলাধুলায় তিনি ছিলেন সবার অনুপ্রেরণা। তার অকালমৃত্যুতে জেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা এক প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ হারালো।