সুমাইয়া তাসফিয়া
মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, ২৮-০৮-২০২৫
কল্পনা করুন—শত্রুর ড্রোন আক্রমণ, ক্ষেপণাস্ত্রের তীব্রতা, আর সেই সব ধ্বংস করতে সক্ষম একটি নিখুঁত রশ্মি। আর অন্যপাশে আকাশ পাহাড়া দেয় যে যুদ্ধবিমান, যার কারণে দেশটির আকাশ সুরক্ষিত। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা আজ এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে।
আজ আমরা জানব ভারতের লেজার অস্ত্রের সাফল্য এবং বাংলাদেশের নতুন যুদ্ধবিমান (J-10C) কেন দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক দৃশ্যপটকে বদলে দিচ্ছে।
ভারত সম্প্রতি Mk-II(A) লেজার-নির্দেশিত শক্তি অস্ত্র (DEW) পরীক্ষায় সফল হয়েছে। এই ৩০ কিলোওয়াট ক্ষমতার লেজার ব্যবহার করে শুধুমাত্র ফিক্সড-উইং ড্রোন, ড্রোনের ঝাঁক এবং ক্ষুদ্র প্রোজেক্টাইল ধ্বংস করা সম্ভব নয়, বরং এটি পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধ কৌশলকেও নতুন করে পুনঃবিন্যাস করতে সক্ষম। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) জানিয়েছে, এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে না,
বরং এটি ভবিষ্যতের যুদ্ধের রণনীতি বদলে দিতে পারে।
এখন ভারত সেই দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, যারা যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের মতো প্রতিপক্ষের সাথে লেজার অস্ত্রের ব্যবহার এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সামিল হয়েছে।
এটি ভারতের সামরিক শক্তিকে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন উচ্চতায় তুলে দিয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৫ এ পাক-ভারত যুদ্ধে ভারতের রাফাল ধ্বংসকারী সেই যুদ্ধ বিমান J-10C ক্রয় করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান শুধু আকাশে আধিপত্য বিস্তার করে না,
বরং দেশের সীমান্ত রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশকে এক নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যা তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও উন্নত করবে ।
J-10C হলো চীনের তৃতীয় প্রজন্মের অত্যাধুনিক বহুমুখী যুদ্ধবিমান,
যা বিভিন্ন ধরনের সামরিক মিশনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
J-10C যুদ্ধবিমান: বাংলাদেশের জন্য কেন উপযুক্ত?
শক্তিশালী ইঞ্জিন: WS-10B বা AL-31FN রাশিয়ান ইঞ্জিন, যা বিমানটির উচ্চ গতি এবং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
গতি: Mach 2.0 (প্রায় 2,450 কিলোমিটার/ঘণ্টা), যা শত্রুর আক্রমণ থেকে পালাতে এবং দ্রুত হামলা করতে সক্ষম।
রেঞ্জ: প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে থাকতে সহায়ক।
অস্ত্রশস্ত্র:
Air-to-air, air-to-ground, এবং anti-ship মিসাইল
PL-12, PL-15, YJ-91 মিসাইল এবং 30mm গ্যাটলিং গান
রাডার ও সেন্সর: Active Electronically Scanned Array বা AESA রাডার, যা দূর থেকে শত্রু লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং D-30 AESA রাডার, যা বিমানটির গতি ও অবস্থান নির্ধারণে সহায়ক।
পালাকৃতির ডিজাইন: উন্নত এয়ারডাইনামিক ডিজাইন, যা দ্রুত গতিতে নিয়ন্ত্রণ সহজ করে।
ককপিট: Glass cockpit প্রযুক্তি, যা পাইলটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজে প্রদর্শন করে।
বহুমুখী ভূমিকা: আকাশ থেকে আকাশে যুদ্ধ, আকাশ থেকে মাটিতে আক্রমণ, গোয়েন্দা কার্যক্রম এবং স্থল আক্রমণ করার ক্ষমতা।
J-10C এর উন্নত প্রযুক্তি এবং ক্ষমতাগুলি বাংলাদেশকে আকাশ প্রতিরক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং শক্তিশালী সামরিক অবস্থান গড়তে সহায়তা করবে।
ভারতের লেজার অস্ত্র এবং বাংলাদেশের যুদ্ধবিমান—দুটি ভিন্ন প্রযুক্তি, তবে লক্ষ্য এক। দেশের সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক দৃশ্যপট এখন প্রযুক্তির সাহায্যে এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে।
তবে এই আধুনিক প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কি শুধুমাত্র সামরিক নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট? নাকি এর মাধ্যমে আমরা আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার নতুন পথও দেখতে পারব? কমেন্টে আপনার মতামত জানান।
======================================================================
Title Options
২০২৫ এর গেমচেঞ্জার! ভারতের লেজার অস্ত্র বনাম বাংলাদেশের J-10C
Thumbnail Text
Laser Gun ???? vs Fighter Jet
Description
ভাবুন তো—ড্রোন, মিসাইল আর যুদ্ধবিমান! ⚡ আর সেগুলো ধ্বংস করছে এক নিখুঁত Laser Weapon।
অন্যদিকে আকাশ পাহারা দিচ্ছে এক মারাত্মক যুদ্ধবিমান—J-10C Fighter Jet, যাকে বলা হয় Rafale killer।
ভারত সম্প্রতি সফলভাবে পরীক্ষা করেছে Mk-II(A) Directed Energy Weapon (DEW)—৩০ কিলোওয়াট ক্ষমতার এই লেজার মুহূর্তেই ড্রোন, প্রোজেক্টাইল ধ্বংস করতে সক্ষম।
বাংলাদেশ আনতে যাচ্ছে চীনের তৈরি J-10C বহুমুখী যুদ্ধবিমান, যার Mach 2.0 গতি, AESA Radar আর PL-15 মিসাইল আকাশ প্রতিরক্ষায় এক নতুন যুগ শুরু করবে।
এই ভিডিওতে জানুন—
ভারতের Laser Weapon কতটা শক্তিশালী?
বাংলাদেশের J-10C কেন Rafale-এর প্রতিদ্বন্দ্বী?
South Asia-র Air Power Balance কীভাবে পাল্টে যাবে?