• হোম > বাংলাদেশ > নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য

নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য

  • শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯:২৭
  • ৯৪

---

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আনুপাতিক পদ্ধতি (পিআর পদ্ধতি) নির্বাচন সংবিধানে নেই। তিনি জানান, “সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। যদি আইন পরিবর্তন হয়, তবে এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।”

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি ও আইন পরিবর্তন

এ এম এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, “নির্বাচন হবে কি না, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতরে আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যেতে চাই।” তিনি উল্লেখ করেন যে, “প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয়, তার জন্য প্রস্তুতি চলছে।”

এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটি নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিতর্ক চলছে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয়, তাহলে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।”

আইনশৃঙ্খলা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সিইসি বলেন, “স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, আমরা সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয়, সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার, যারা আগেও নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের পদায়ন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।

নির্বাচন কর্মকর্তাদের যোগ্যতা ও স্বচ্ছতা

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে পূর্ববর্তী নির্বাচনে অনিয়ম করেছেন, তাদের রাখা হবে না।”

তিনি বলেন, “এই সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো চাপ দেয়নি। যদি চাপ দেয়, আমি পদত্যাগ করব। চেয়ারে থাকব না।”

আওয়ামী লীগের পরিস্থিতি এবং নির্বাচন

সিইসি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।”

নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও কঠোর পদক্ষেপ

নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যারা বাক্স দখল করার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবে।” তিনি জানিয়ে দেন, “যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব। ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে।”

পরে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

 


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/4089 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 09:35:54 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh