• হোম > এক্সক্লুসিভ | দক্ষিণ আমেরিকা | ফিচার | রাজনীতি > বিজেপি ধরাশায়ী, দিল্লির মসনদে কেজরিওয়াল

বিজেপি ধরাশায়ী, দিল্লির মসনদে কেজরিওয়াল

  • বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০৭:২৫
  • ৭৯৩

অরবিন্দ কেজরিওয়ালভারতের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঝড়ে দিল্লির আম আদমী পার্টি (আপ) ভেসে যাবে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু হল তার উল্টোটা। দিল্লির কুরসি থেকে নামানো গেল না অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। রাজধানীতে জনপ্রিয়তার কেরামতিই দেখালেন তিনি। হ্যাটট্রিক জয় নিয়ে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসতে যাচ্ছেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। মোট ভোট পড়ে ৬২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মঙ্গলবার সকালে ইভিএম খোলা শুরু হতেই দিকে দিকে আপের জয়জয়কার। ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছে আপ। বিজেপি পেয়েছে ৮টি আসন।

ভরাডুবির মধ্যে বিজেপির কাছে একমাত্র সান্ত্বনা, গতবারের চেয়ে আসন বাড়ানো। এবার কোনো আসনই জিততে পারেনি কংগ্রেস। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আপ পেয়েছিল ৬৭ এবং বিজেপি ৩।

ভোটগণনা শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই আম আদমি পার্টির (আপ) জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বেলা যত বাড়তে থাকে বিজেপির সঙ্গে জয়ের ব্যবধানও ততই চওড়া হতে থাকে। বিকাল ৪টার মধ্যে আপের আসন সংখ্যা যেখানে ৬৩-তে গিয়ে ঠেকে। সেখানে কমতে কমতে বিজেপির আসন সংখ্যা এসে ঠেকে আটে।

দিল্লি নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েও ব্যর্থতার ছাপ নেই কংগ্রেস নেতাদের চোখেমুখে। বরং আশাই দেখছেন তারা। বলছেন, বড় ব্যবধানে কেজরির এগিয়ে থাকাই পরিষ্কার করে দিচ্ছে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে মানুষ। মেরুকরণের রাজনীতি ধাক্কা খেয়েছে।

কংগ্রেস সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরী বললেন, ‘বিজেপিকে কার্যত তুলে আছাড় মারল দিল্লির মানুষ।’

নিরাশ হতে রাজি নন সংসদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনকে যুদ্ধ করে তুলতে পারিনি। বিজেপির পরাজয়ে, আপের উত্থানে আমাদের ক্ষতি নেই। ধর্মান্ধদের পরাজয় হয়েছে। আপের এই জয় সংহত ভারতের ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’

দিল্লি ভোটের ফলকে সামনে রেখে একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে রীতিমতো হুশিয়ারি দিলেন মমতা ব্যানার্জি। একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে শিক্ষা দেবে বাংলা, মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সভায় এ কথাই বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

মমতা বলেন, ‘ধীরে ধীরে স্টেটলেস হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। বড় রাজ্য বলতে শুধু উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটক। শেষ কলস ডুবিয়ে দেবে একুশের বাংলায়। টাকা দিয়ে হবে না। আমার মা-বোনেদের শঙ্খ, উলুধ্বনির জোর অনেক বড়।’


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/407 ,   Print Date & Time: Saturday, 7 June 2025, 09:45:11 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh