বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ পলায়নের পর বিএনপিকেও রাজনীতির অঙ্গন থেকে সরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে রাজনীতিশূন্য করতে দেশি-বিদেশি মহলের প্ররোচনায় একটি নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয় হয়েছে। তিনি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী গোষ্ঠী বিএনপিকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে সক্রিয় রয়েছে।
আব্বাস আরও বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, খাগড়াছড়ির সাজেক ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালকে কেন্দ্র করে ‘অশুভ উদ্দেশ্য’ সাধনে সচেষ্ট মহলগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি জানালেন, কিছু রাজনৈতিক দল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে এবং সেগুলো এসব চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে।
আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক মাইনাস-টু ফর্মুলা চালু হয়েছে, যা ১/১১ সময়কার মাইনাস-টু ফর্মুলার মতো। তখন এটি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে এসেছিল, আর এখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ভিন্ন আকারে একই চেষ্টায় লিপ্ত।’
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের ভেতরের আওয়ামীপন্থী সদস্যরা বিএনপিকে দুর্বল করতে সক্রিয় রয়েছেন। তাদের বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতারা দেশের বাইরে থাকলে বিএনপিকে সরিয়ে দিয়ে দেশের শাসন ক্ষমতা তাদের হাতে চলে আসবে।
এছাড়া, আব্বাস বলেন, ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মাইনাস-টু ফর্মুলার মাধ্যমে বিএনপিকে সরিয়ে দিয়ে দেশের রাজনীতি নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।’ তিনি আরও দাবি করেন, কিছু আওয়ামী লীগ সমর্থক আমলাও এই ষড়যন্ত্রের পক্ষে কাজ করছে।
আব্বাস বিএনপির বিপুল জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, কিছু মহল প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে এবং মিথ্যা প্রচারণায় দলের জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠদের সরাতে হবে। অন্যথায়, সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হবে।’