ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সরকার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, শেখ হাসিনার অডিও এবং বক্তব্য প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞার গুরুতর লঙ্ঘন। গত বছরের ডিসেম্বরে ট্রাইব্যুনাল তার ঘৃণামূলক বক্তব্যের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু গণমাধ্যম গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আইন অমান্য করে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করেছে। তাদের সতর্ক করে দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভবিষ্যতে এধরনের কার্যক্রমের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান, এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি বিচারাধীন।
অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং মিডিয়া থেকে দায়িত্বশীলতার প্রতি আহ্বান জানায়।