চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের ওয়াকিটকিতে দেওয়া গোপন বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করার অভিযোগে অভিক দাস নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সিএমপির খুলশী থানায় কর্মরত।
রোববার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে খুলশী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ডিসি) মাহমুদা বেগম জানান, অভিক দাসের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে কমিশনার হাসিবের দেওয়া বার্তায় বলা হয়েছিল, “পুলিশের সামনে কেউ অস্ত্র বের করলে তা আগ্নেয়াস্ত্র হোক বা ধারালো অস্ত্র—গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় গুলি করতে হবে। হয় মাথায়, নয়তো বুকে, নয়তো পিঠে, সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”
এর আগে, ১১ আগস্ট নগরীর বন্দর থানার সল্টগোলা এলাকায় নিষিদ্ধ এক রাজনৈতিক দলের কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এই ঘটনায় সন্ত্রাসীরা বন্দর থানার এসআই আবু সাঈদকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পুলিশ ওই ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তী রাতে ওয়্যারলেসে কমিশনারের দেওয়া নির্দেশে পুলিশ সদস্যদের বলা হয়, অপরাধীরা অস্ত্র বের করলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাবার বুলেট ছাড়াও লাইভ এম্যুনিশন সহ মাঠে প্রস্তুত থাকতে হবে। অভিক দাস এই গোপন বার্তা ভিডিও রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
সিএমপি কর্মকর্তারা জানান, পুলিশের জন্য গোপন বার্তা বাইরে চলে যাওয়া নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তবে ভিডিও প্রকাশের পরও মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা নির্দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।