নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড়ে আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও সিএনজি স্টেশন দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে। এ সময় গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আহতদের অবস্থা
গুলিবিদ্ধরা হলেন— তাইজুদ্দিনের ছেলে হামিদ মিয়া (২৮) এবং বিল্লাল মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৮)। তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত আরও তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পেছনের কারণ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লালু মিয়া ও কর্মী মোসাদ্দেক হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার, ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি এবং পাঁচদোনা মোড়ের সিএনজি স্টেশন দখলকে ঘিরে বিরোধ চলে আসছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এই বিরোধ আরও তীব্র হয়। প্রায়ই উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ঘটে আসছে। সর্বশেষ রবিবার রাতে আবারও সহিংসতায় জড়ায় তারা।
পুলিশের ভূমিকা
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও প্রথম দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন—
“আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনো কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা যায়নি।”
সাধারণ মানুষের আতঙ্ক
সংঘর্ষ চলাকালে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, টানা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে সাধারণ মানুষ বাড়িঘরে আটকে পড়েন। অনেকে দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে চলে যান।