সিলেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনুর রুবাইয়াতের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করে। গত তিন দিনে জেলায় মোট প্রায় চার লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ হলো।
আজ সকাল থেকে ধুপাগুলের বিভিন্ন ক্র্যাশার মিল ও মহালদি গ্রামে লুকিয়ে রাখা পাথর উদ্ধার করা হয়। সিলেট জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ জানান, মাটি ও বালির নিচে লুকানো এসব পাথর জব্দ করা হয়েছে। পরে এগুলো সাদা পাথরে প্রতিস্থাপন করা হবে।
এদিকে, পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আলাদাভাবে সাদাপাথর চোরদের খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান শুরু করেছে। পাশাপাশি হাইকোর্ট বিভাগ সাত দিনের মধ্যে চোরদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় দেড় হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন—মোহাম্মদ কামাল মিয়া ওরফে পিচ্চি কামাল, মো. আবু সাঈদ (২১), মো. আবুল কালাম (৩২), ইমান আলী (২৮) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।