• হোম > বিদেশ > আলাস্কায়ও যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ ট্রাম্প-পুতিন

আলাস্কায়ও যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ ট্রাম্প-পুতিন

  • শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩৪
  • ৮৫

---

আন্তর্জাতিক কূটনীতির আলোচনায় আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধ। কিন্তু আলাস্কার বৈঠক শেষে কোনো শান্তি চুক্তি ছাড়াই ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশ্বের কোটি মানুষের আশা ছিল—দুই পরাশক্তির নেতার সাক্ষাৎ হয়তো যুদ্ধ থামানোর পথ তৈরি করবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বৈঠক শেষে তারা ফিরেছেন ‘শূন্য হাতে’।

ব্যর্থ প্রত্যাশা ও মানবিক সংকট

ইউক্রেন যুদ্ধ ইতিমধ্যেই লাখো মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে, কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শিশুরা শিক্ষা হারাচ্ছে, পরিবারগুলো ভাঙছে, শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবিক বিপর্যয় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল—তিনি যুদ্ধ বন্ধে এক নতুন ‘ডিল’ করবেন। কিন্তু আলোচনার পর সেই আশার আলো মিলিয়ে গেছে।

ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন—“আমরা (সমঝোতায়) পৌঁছাতে পারিনি।”
অন্যদিকে পুতিন বলেছেন—দু’পক্ষের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া হয়েছে, তবে কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি।

ইউক্রেন ও ইউরোপের প্রতিক্রিয়া

যুদ্ধবিরতি নিয়ে অচলাবস্থা বজায় থাকায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামাতে হলে শুধু কূটনৈতিক ছবি তোলাই যথেষ্ট নয়—প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ।
ইউরোপীয় নেতারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, যদি পশ্চিমা জোট একক অবস্থানে না থাকে, তবে রাশিয়া সেই দুর্বলতাকে ব্যবহার করবে।

লাল গালিচা, কিন্তু চুক্তি নয়

আলাস্কার অ্যাঙ্করেজে ভ্লাদিমির পুতিনকে লাল গালিচা দিয়ে স্বাগত জানান ট্রাম্প। সামরিক বিমান উড়ে যায় আকাশে। বৈঠক চলে প্রায় তিন ঘণ্টা। কিন্তু সেই আয়োজন শেষ হলো কোনো ফলাফল ছাড়াই।
যে মানুষ নিজেকে ‘ডিলমেকার’ বলতে ভালোবাসেন, তাকেই শেষ পর্যন্ত শান্তি বা যুদ্ধবিরতির কোনো সমাধান ছাড়াই ফিরে আসতে হলো।

সাংবাদিকদের প্রশ্নহীন সংবাদ সম্মেলন

বৈঠক শেষে দুই নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করলেও কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। শুধু নিজেদের বক্তব্য দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে যান। এতে সাংবাদিক মহলে বিস্ময় তৈরি হয়।
বিবিসির বিশ্লেষকরা বলছেন—এটি এক ধরনের ব্যর্থতার প্রতীক, যা যুদ্ধ থামানোর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় নতুন অনিশ্চয়তা যোগ করেছে।

মানবিক বার্তা

এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হলো সাধারণ মানুষ।
বাড়িঘর হারানো মা, পিতা হারানো শিশু, অনাহারে থাকা বৃদ্ধ—তাদের চোখে প্রতিদিন শুধু প্রশ্ন, যুদ্ধ কবে থামবে?

আলাস্কার বৈঠক সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হলো। বিশ্বশান্তির প্রতিশ্রুতি আবারও অনিশ্চয়তার ধোঁয়ায় ঢাকা রইল।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/3834 ,   Print Date & Time: Monday, 15 December 2025, 10:24:06 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh