দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের স্ত্রী এবং প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ এবং অন্যান্য অভিযোগের কারণে পুলিশ তাকে আটক করেছে। তবে কিম তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের নির্দেশে ৫২ বছর বয়সী কিমকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসিকিউটররা প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখ করে ৮৪৮ পৃষ্ঠার মতামত আদালতে জমা দেন, এরপরই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
এই গ্রেফতারের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবার একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি উভয়কেই একসাথে কারাগারে পাঠানো হলো। কিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজার এবং আর্থিক বিনিয়োগ আইন লঙ্ঘন, রাজনৈতিক তহবিল আইন লঙ্ঘন, এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ।
তার স্বামী, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল, গত বছর ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন প্রয়োগের চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেফতার হন। সংসদে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব বিরোধী দল প্রত্যাখ্যান করলে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
কিমকে গত সপ্তাহে প্রসিকিউটররা দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গ্রেফতারের দিন, তিনি জানান, “আমি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নই, তবুও সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।”
কিমকে ঘিরে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলছিল, বিশেষ করে শেয়ারবাজার কারসাজি এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে। তার বিরুদ্ধে ইউনের দলের এমপিদের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগও রয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন তিনটি বিশেষ তদন্ত বিল ভেটো করেছিলেন, যা কিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য আনা হয়েছিল। শেষ ভেটোটি নভেম্বরের শেষের দিকে জারি হয়। এক সপ্তাহ পরে ইউন সামরিক আইন ঘোষণা করেন।