সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে। সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এই কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের দায়িত্ব ছিল ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশগুলো বিবেচনা ও গ্রহণ করা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কমিশনের সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করা হয়।
অন্য সদস্যরা হলেন—
-
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী
-
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন
-
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার
-
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক
-
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা কমিশনকে প্রথমে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৫ আগস্ট। তবে মেয়াদ বাড়ানোয় কমিশন এখন ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রমসহ নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন–সংক্রান্ত সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে কমিশন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক শক্তির সঙ্গে সংলাপ করছে এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে সুপারিশ তৈরি করছে।
কমিশনের সচিবালয় হিসেবে কাজ করছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।