• হোম > অর্থনীতি > বাজারে স্থিতিশীলতা, দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি

বাজারে স্থিতিশীলতা, দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি

  • বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৫৬
  • ১০৯

---

গত বছর ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের এক বছরে দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে নেওয়া পদক্ষেপ ও বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের কর্মকৌশল সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “গত বছরের তুলনায় এখন বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো বড় উৎসবেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল, যা বড় সফলতা।”

তিনি জানান, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনায় ২৮টি মনিটরিং দল সারাদেশে মাঠপর্যায়ে কাজ করেছে। চার শতাধিক টিম বাজার পর্যবেক্ষণে যুক্ত ছিল, যা চাঁদাবাজি হ্রাস, পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।

বাজারে রমজান, ঈদ বা মৌসুমি চাহিদা বাড়ার সময় যে অস্থিরতা দেখা দেয়, তা এবার সঠিক সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও কঠোর নজরদারির মাধ্যমে প্রশমিত করা হয়েছে বলে জানান সচিব।

তিনি আরও বলেন, টিসিবি’র কার্যক্রম শক্তিশালী করার পাশাপাশি এক কোটি পরিবার স্মার্ট কার্ডের আওতায় নিয়মিত ভর্তুকি পণ্য পাচ্ছে। একইসঙ্গে ট্রাক সেল কার্যক্রমও চালু রয়েছে।

ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ সহজ করতে সরকার “ইজি অব ডুয়িং বিজনেস” সংস্কারে কাজ করছে। আমদানি নীতিমালায় পরিবর্তন, বাণিজ্য আদালত গঠন এবং দ্রুত সনদ প্রদানে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে খসড়া আইন চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।

দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতির বিষয়ে সচিব জানান, ভুটানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, এবং জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইউএই ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে যেখানে খাদ্যসামগ্রীর মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.১০%, ২০২৫ সালের জুনে তা কমে দাঁড়ায় ৭.৩৯%। একইভাবে অখাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯.৬৮% থেকে নেমে এসেছে ৯.৩৭%-এ। শহর ও গ্রামীণ উভয় এলাকায় মূল্যস্ফীতি কমেছে, যা বাজার স্থিতিশীলতার ইতিবাচক ইঙ্গিত।

এফবিসিসিআই প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, “প্রথম দিকে কিছুটা অস্থিরতা থাকলেও এখন ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে আছেন। তবে ডিম, তেল, মুরগির মতো কিছু পণ্যে এখনও ঘাটতি আছে, যার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ প্রয়োজন।”


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/3510 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 04:05:12 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh