অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থনে যেসব মানুষ কারাবরণ করেছেন, তাদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে ‘জুলাই জাদুঘরে’ সংরক্ষণ করা হবে। তিনি বলেন, এ তালিকা শুধু তথ্য নয়, গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাবে কারা গণঅধিকার রক্ষায় আত্মত্যাগ করেছিলেন।
বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই কারাবন্দীদের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে একসাথে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখানে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র কিংবা রাজনৈতিক মতাদর্শ কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। সবাই মানুষ হিসেবে, নাগরিক অধিকার রক্ষার দায়ে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এখন অভ্যুত্থানের পর নানা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আন্দোলনের শক্তির মধ্যে বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা চলছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। অথচ অভ্যুত্থানের পূর্বপর্যায়ে এই শক্তির মধ্যে ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ঐক্য।
তিনি বলেন, “জুলাইকে আমাদের চেতনায় চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখতে হবে। যারা শহীদ হয়েছেন, অঙ্গহানি হয়েছে, কারাবরণ করেছেন— তাদের স্মৃতি ভুলে গেলে চলবে না। বরং তাদের সম্মান জানানোই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর।