অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে সংঘাতময় করতে চায়। তারা যেন কোনোভাবেই সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।” মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
“একটি গোষ্ঠী দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পরাজিত শক্তি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে। কিন্তু একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অপশক্তির পরাজয় চূড়ান্ত হবে।”
তিনি মনে করিয়ে দেন,
“দেশের ইতিহাসে যত বড় সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার মূল কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। এই কলঙ্কিত অধ্যায় আর দেখতে চায় না বাংলাদেশ।”
ভাষণে ইউনূস জানান,
“নাগরিকদের মতামত জানতে খুব শিগগির একটি প্রযুক্তি-নির্ভর অ্যাপ চালু করা হবে। এ অ্যাপে মানুষ তাঁদের মতামত, উদ্বেগ ও পরামর্শ জানাতে পারবেন, যা সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
“ইশতেহার হোক তরুণ ও নারীবান্ধব। তরুণরাই দেশ ও বিশ্ব বদলে দিতে পারে, তাদের উপেক্ষা করলে চলবে না।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“সব নাগরিক যেন নিরাপদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে—এটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সবার পছন্দের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“ভোট দিতে যাওয়ার আগে যেন শহীদদের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে—তাঁদের রক্তে অর্জিত এই অধিকার আমাদের দায়িত্ব।”
“ফেব্রুয়ারি বেশি দূরে নয়। এবার আমরা সবাই ভোট দেবো। কেউ বাদ যাবে না। সবাই যেন বলতে পারি—নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে আমি আমার ভোটটা দিয়েছিলাম।”
ভাষণের শেষাংশে তিনি জাতিকে উদ্দেশ করে বলেন,
“আসুন, নতুন বাংলাদেশের প্রথম বড় পরীক্ষায় আমরা সবাই উত্তীর্ণ হই।”