• হোম > রাজশাহী > রাজশাহী আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা, ৩৪ জন সন্দেহভাজন আটক

রাজশাহী আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা, ৩৪ জন সন্দেহভাজন আটক

  • বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৪:৪১
  • ৫৯

---

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সারাদেশে শুরু হয় নির্বিচার হত্যা, গণগ্রেপ্তার, গুম ও মিথ্যা মামলা। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩১ জুলাই ২০২৪ সালে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির ডাক দেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিটি আদালত চত্বরের সামনে পালনের আহ্বান জানানো হয়।

রাজশাহীতে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আগেভাগেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। সেদিন সকাল থেকেই রাজশাহী মহানগর ও জেলাজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক গ্রেপ্তার অভিযান। আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, ডিবি ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্য। আদালতপাড়াসহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বসানো হয় চেকপোস্ট।

আটক ৩৪ জন, শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করতে ব্যর্থ

কেবল আদালত এলাকার আশপাশ থেকেই আটক করা হয় ২৯ জন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ৫ জনকে আটক করে জেলা পুলিশ। ফলে সর্বমোট আটক করা হয় ৩৪ জনকে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, আন্দোলনকর্মী ও সাধারণ নাগরিকও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারীদের ভাষ্য: “আমরা আতঙ্কে ছিলাম”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মিশকাত চৌধুরী মিশু বাসস-কে জানান, “কর্মসূচির ঘোষণার পরপরই আদালত চত্বর ঘিরে ফেলা হয়। পথে পথে তল্লাশি চালিয়ে আমাদের সহযোদ্ধাদের আটক করা হয়। পরিস্থিতি দেখে আমরা কর্মসূচি থেকে সরে আসতে বাধ্য হই।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা থানায় গিয়েও অনেককে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। কেউ কেউ ছাড়া পেলেও বেশ কয়েকজনকে আদালতে চালান দেওয়া হয়। এটা ছিল আমাদের জন্য এক বিভীষিকাময় দিন।”

শিক্ষক সমাজের প্রতিবাদ ও সমর্থন

সেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তারা শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দাবি মানা না হলে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নামবেন।

এক শিক্ষক বলেন, “ছাত্র আন্দোলন পরাজিত হতে পারে না, তারা জয়ী হবেই। সরকার শিক্ষার্থীদের রক্ত নিয়ে রাজনীতি করছে।”

উপাচার্যের অবস্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ হাসান নকীব বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পাশে ছিলাম। সংগঠিত আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। সেই সময়টা ছিল খুব ভীতিকর, তবে আমাদের বিশ্বাস ছিল—বিজয় আসবেই।”


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/3356 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 09:04:04 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh