ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলা ভয়েস এআই হয়ে উঠেছে এক নতুন বিপ্লবের নাম। সাধারণ মানুষের ভাষায় কথা বলে যে প্রযুক্তি, তা-ই আজ মানুষের সবচেয়ে কাছের হয়ে উঠছে।
১. লোকাল ভাষার শক্তি
বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ বাংলা ভাষাভাষী। ইংরেজিভিত্তিক অ্যাপ বা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট তাদের কাছে জটিল ও অপ্রাসঙ্গিক। বাংলা ভয়েস AI তাদের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিকে সহজ করেছে।
২. ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে
BTRC-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। স্মার্টফোন এখন গ্রামেও — ফলে ভয়েস কমান্ড-ভিত্তিক সেবা আরও কার্যকর হয়ে উঠছে।
৩. ব্যবসায়িক প্রয়োগে সুবিধা
ই-কমার্স, হেলথটেক, এডটেক—সব খাতে ভয়েস AI ব্যবহারে কাস্টমার সাপোর্ট এখন আরও দ্রুত, সহজ ও ব্যয়বহুল সাশ্রয়ী।
৪. অ্যাক্সেসিবিলিটি ও অন্তর্ভুক্তি
অশিক্ষিত, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বা প্রযুক্তিতে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও ভয়েস AI এর মাধ্যমে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন।
মার্কেট ট্রেন্ডস ও সম্ভাবনা:
-
বাংলাদেশ স্পিচ রিকগনিশন মার্কেট:
২০২৫ সালে $৩৯.২১ মিলিয়ন → ২০৩১ সালে $১০৩.৮৯ মিলিয়ন
বাৎসরিক বৃদ্ধির হার: ১৭.৬৮% -
স্পিচ-ভিত্তিক NLP মার্কেট:
২০২৫ সালে $১৪৩ মিলিয়ন → ২০৩১ সালে $৫৮৯.৯৭ মিলিয়ন
বাৎসরিক বৃদ্ধি: ২৬.৬৪%