• হোম > অর্থনীতি | বাংলাদেশ | বিদেশ > যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গম আমদানি চুক্তি: বাংলাদেশের বাণিজ্য কৌশল, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গম আমদানি চুক্তি: বাংলাদেশের বাণিজ্য কৌশল, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

  • রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ২২:৩২
  • ৯১

---

ই-বাংলাদেশ ডেস্ক

বাংলাদেশ ২০২৫ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ গম আমদানি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর ৭ লাখ টন গম আমদানি করা হবে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫% শুল্ক চাপ প্রশমিত করা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টস (RMG) খাতসহ প্রধান রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে।

প্রেক্ষাপট ও পরিসংখ্যান
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ঘোষণা: ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের রপ্তানিতে ৩৫% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাণিজ্য ঘাটতি: বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার।

গমের চাহিদা: বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৭ মিলিয়ন টন গম আমদানি করে।

সরবরাহ উৎস: ব্ল্যাক সি অঞ্চল (রাশিয়া, ইউক্রেন, কাজাখস্তান) মূল উৎস হলেও, মানসম্মত গমের একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ থেকেও সংগ্রহ করা হয়।

কৌশলগত বিশ্লেষণ
কূটনৈতিক বার্তা:
এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে বাংলাদেশ বাণিজ্যে পারস্পরিক ভারসাম্যের দিকে এগোচ্ছে।

খাদ্য সরবরাহ নিরাপত্তা (Food Security):
ব্ল্যাক সি অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় বিকল্প সরবরাহ লাইন তৈরি করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক প্রভাব:

স্বল্পমেয়াদে: উচ্চমূল্যের কারণে আমদানি ব্যয় বাড়বে।

দীর্ঘমেয়াদে: যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক হ্রাস করে, RMG সেক্টরের প্রতিযোগিতা ক্ষমতা টিকে যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়তে পারে।

ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ
মূল্য ঝুঁকি: যুক্তরাষ্ট্রের গম তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল, যা স্থানীয় বাজারে গমের দাম বাড়াতে পারে।

ডলার সংকট: অতিরিক্ত আমদানি ব্যয় বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে চাপ ফেলতে পারে।

কূটনৈতিক অনিশ্চয়তা: যদি শুল্ক হ্রাস না ঘটে, তবে আমদানির চাপ বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

নীতিগত সুপারিশ
দ্রুত দ্বিপাক্ষিক ট্রেড আলোচনার ত্বরান্বিতকরণ।

বাজার বৈচিত্র্য: ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়াতে হবে।

দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় গম উৎপাদন বাড়াতে হবে।

কৌশলগত স্টক ম্যানেজমেন্ট: দীর্ঘমেয়াদি মূল্যের অস্থিরতা সামলাতে স্টক পরিকল্পনা জোরদার করতে হবে।

ভবিষ্যৎ অগ্রগতি (Projection)
RMG খাত: যদি যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক হ্রাস করে, তবে ২০২৬ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৮-১০% বৃদ্ধি পেতে পারে।

গম সরবরাহ নিরাপত্তা: ব্ল্যাক সি অঞ্চলের ওপর নির্ভরতা ১৫-২০% কমানো সম্ভব।

বাণিজ্য ঘাটতি: ৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘাটতি প্রায় ১-১.৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমানো যেতে পারে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/3250 ,   Print Date & Time: Saturday, 11 October 2025, 01:09:12 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh