• হোম > Non-Governmental Organizations | আফ্রিকা | ইউরোপ | উত্তর আমেরিকা | এক্সক্লুসিভ | এশিয়া | মধ্যপ্রাচ্য > দারিদ্র্য থেকে মুক্তির সবচেয়ে কার্যকর পথ: কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই ও সমৃদ্ধিশালী কমিউনিটি গঠন

দারিদ্র্য থেকে মুক্তির সবচেয়ে কার্যকর পথ: কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই ও সমৃদ্ধিশালী কমিউনিটি গঠন

  • রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১৬:০৭
  • ২৯

চাকরির মাধ্যমে কমিউনিটি ক্ষমতায়ন: বৈশ্বিক প্রভাব তৈরিতে IFC-এর অঙ্গীকার
রিপোর্ট: অনলাইন ডেস্ক

কেবল আয় নয়—চাকরি মানুষকে দেয় সম্মান, স্বাবলম্বিতা ও জীবনের লক্ষ্য। একজন মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা মানে তার পুরো পরিবার ও কমিউনিটির জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচন। আর এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই বিশ্বব্যাংক গ্রুপ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে তাদের অন্যতম প্রধান উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে।

বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আগামী এক দশকে ১.২ বিলিয়ন যুবক-যুবতী শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে। কিন্তু তৈরি হবে মাত্র ৪২০ মিলিয়ন নতুন চাকরি। এই বিশাল ব্যবধান মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপ তিনটি কৌশলগত স্তরে কাজ করছে—

অবকাঠামোগত ভিত্তি গড়ে তোলা: স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মৌলিক সেবা খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে;

নীতিগত পরিবেশ উন্নয়ন: ব্যবসাবান্ধব ও পূর্বানুমানযোগ্য বিধিবিধান প্রণয়নের জন্য সরকারকে সহায়তা প্রদান;

বেসরকারি পুঁজির সঞ্চালন: চাকরির চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণ।

এই তৃতীয় স্তরের প্রভাব বাড়াতে, IFC—বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি খাতভিত্তিক সংস্থা—চারটি আন্তঃসম্পর্কিত কৌশল বাস্তবায়ন করছে:

বেসরকারি পুঁজির ব্যাপক সংগ্রহ;

সম্ভাবনাময় খাতে ইকুইটি বিনিয়োগ বৃদ্ধি;

ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসা (MSME) সহায়তা;

অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মাধ্যমে কাজের প্রভাব বাড়ানো।

খাতভিত্তিক বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক অগ্রাধিকার
IFC কৃষি, অবকাঠামো, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, ট্যুরিজম এবং ভ্যালু-অ্যাডেড উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে টেকসই কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

আফ্রিকা
আগামী ৩০ বছরে আফ্রিকায় ৭৪০ মিলিয়ন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবছর ১.২ কোটিরও বেশি তরুণ কর্মবাজারে প্রবেশ করলেও সৃষ্টি হচ্ছে মাত্র ৩০ লাখ চাকরি। IFC এখানকার MSME উদ্যোক্তাদের সরাসরি ও পরোক্ষ বিনিয়োগ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমর্থন দিচ্ছে।

এশিয়া-প্যাসিফিক
বিশ্বের ২ বিলিয়ন অনানুষ্ঠানিক কর্মজীবীর ১.৩ বিলিয়ন বাস করে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে। কর্মসংস্থানে নারীর অংশগ্রহণ কমছে—শুধু ৫৮%। IFC প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, নারী ও যুব কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা বিকাশে জোর দিচ্ছে।

ইউরোপ
ইউরোপে শ্রমবাজার স্থিতিশীল হলেও, জনসংখ্যার বার্ধক্য ও দক্ষ কর্মীর অভাব সংকট তৈরি করছে। ইইউতে ২০১৫ সালে ১০% বেকারত্ব ২০২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৬%-এ। IFC এখানে বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও চাকরি সৃষ্টিতে সহায়তা করছে।

লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান
এই অঞ্চলে ৯৯.৫% ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই SME, যারা ৬০% কর্মসংস্থান তৈরি করে। তবে SME ফাইন্যান্সিং ঘাটতি $১.৮ ট্রিলিয়ন। IFC এই ঘাটতি পূরণে বিনিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও বাজার সংযোগ বৃদ্ধি করছে।

মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, তুরস্ক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান
এই অঞ্চলের অনেক দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চাকরি সংকটে। তাপমাত্রা, খরা ও বন্যায় জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে। IFC এখানে বৈশ্বিক কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে আকৃষ্ট করে দক্ষতা হস্তান্তর ও টেকসই চাকরি তৈরি করছে।

উপসংহার
একটি ভালো চাকরি শুধু অর্থ উপার্জনের পথই নয়, এটি সমাজে একজন ব্যক্তির মর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসের উৎস। IFC-এর এই বৈশ্বিক উদ্যোগ ও আঞ্চলিক কৌশলসমূহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টেকসই কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।

“একটি চাকরি বদলে দিতে পারে একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একসময়—একটি পুরো জাতি।”

সূত্র: আন্তর্জাতিক আর্থিক কর্পোরেশন (IFC), বিশ্বব্যাংক গ্রুপ


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/3104 ,   Print Date & Time: Sunday, 6 July 2025, 06:49:33 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh