• হোম > অর্থনীতি | বিদেশ > এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলন ও বাংলাদেশের কৃষি

এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলন ও বাংলাদেশের কৃষি

  • শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২, ১৯:২১
  • ৭৮৬

ড. আতিউর রহমান 

ড. আতিউর রহমান

ঢাকায় অনুষ্ঠিত এফএওর চার দিনব্যাপী এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে এ অঞ্চলের কৃষির সমকালীন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য একটি বিশেষ আঞ্চলিক তহবিল গঠনের যে প্রস্তাবটি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনীসভায় রেখেছিলেন, তা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে কৃষির উন্নয়নে বিশেষ ডিজিটাল হাব স্থাপন, সবুজায়ন বৃদ্ধি, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, টেকসই কৃষি খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব ও পরস্পর নির্ভরশীল হিসেবে বিবেচনা করে ‘ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রচ’কে অগ্রাধিকার দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন সম্মেলনের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশে এই প্রথম এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য এফএওর মহাপরিচালক চি দোংউ বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি চীনের সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং একজন বাস্তববাদী নেতা। তিনি দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করেন যে টেকসই লক্ষ্যগুলো পূরণে পৃথিবী অনেকটাই পিছিয়ে আছে। সে জন্যই বিশ্ব খাদ্যব্যবস্থাকে আরো সহিষ্ণু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন যে কৃষি একটি সমন্বিত বিষয়। সে জন্য অর্থ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য, খাদ্য, জলবায়ু ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষি মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হয়। প্রযুক্তির কল্যাণে কৃষি দ্রুতই বদলে যাচ্ছে। তাই বর্তমানের কৃষিকে প্রযুক্তির চোখ দিয়ে দেখতে হবে।

সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি তিনি আমাদের কৃষিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকও করেন। ৯ মার্চ ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে মহাপরিচালকের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় কৃষিমন্ত্রীর আমন্ত্রণে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং আমি উপস্থিত ছিলাম। খাদ্যমন্ত্রী, প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং এফএওর প্রধান অর্থনীতিবিদ ও মহাপরিচালকের বিশেষ উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন। এরপর আমরা মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করি এবং মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষির অসামান্য উন্নয়ন ও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে খোলামেলা আলাপ হয়।

আমরা অর্থনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তরের পেছনে সরকারের ধারাবাহিক বিনিয়োগ, কৃষিবিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন ও গবেষণা, সম্প্রসারণকর্মীদের মাঠ পর্যায়ের ভূমিকা এবং ব্যক্তি খাতের অবদান নিয়ে আলাপ করি। সরকারের পাশাপাশি উন্নয়নমুখী কেন্দ্রীয় ব্যাংক উপযুক্ত কৃষিঋণ নীতিমালা প্রণয়ন, সবুজ কৃষির জন্য বিশেষ তহবিল গঠন, নারী উদ্যোক্তাসহ সবুজ উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টির কথা বলি। ব্যক্তি খাতও বাংলাদেশের কৃষিকে যেভাবে খোরপোশ কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরে বিরাট ভূমিকা পালন করছে, সেসব বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসে। একই সঙ্গে করোনাকালে সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়ার কারণে যেভাবে কৃষি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল এবং বাংলাদেশ সরকার দ্রুত প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেই কথাগুলোও আমরা তুলে ধরি। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীরা যে উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করার মনোভাব দেখিয়েছেন, সেসব কথাও উঠে আসে আমাদের আলাপচারিতায়। কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ, সোলার ইরিগেশন পাম্পের প্রসার এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে কৃষির সম্প্রসারণের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও কথা হয়।

বেশ ভালো লাগছে যে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা এসব বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলেছেন বলে মনে হয়। সম্মেলন শেষে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের যেসব কথা বলেছেন, তাতেই বোঝা যায় যে এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি, বিশেষ করে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে যথেষ্ট আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের শিকার প্রথম সারির দেশ। তা ছাড়া কভিডের প্রভাবে সারের উৎপাদন যেভাবে কমে গেছে, তাতে কৃষির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নতুন জাতের ফসল উৎপাদন তাই সময়ের দাবি। সে কারণেই গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন। এফএওকে এ ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও বিশ্ব খাদ্য বাজারকে ওলটপালট করে দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ সার, গম ও ভোজ্য তেল সংগ্রহে বেশ চাপেই আছে। কৃষিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ যথেষ্ট অগ্রগতি দেখিয়েছে। এফএও যদি এ অঞ্চলের ৪৬টি দেশের জন্য একটি ডিজিটাল হাব তৈরি করতে পারে, তাহলে সেখানে সব দেশের কৃষি-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী তথ্য জমা রাখা সম্ভব হবে। জাপান যেমন ড্রোন, রোবট ব্যবহার করে প্রিসিশন কৃষির বিকাশ ঘটাচ্ছে, এ অঞ্চলের সব দেশই তা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। কভিড চলাকালেই আমরা বুঝতে পেরেছি প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত রোগের প্রকোপ কিন্তু বাড়ছে। আর সে জন্যই এ অঞ্চলে ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রচ গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা। তা ছাড়া এ অঞ্চলে যতটুকু খাদ্য উৎপাদন করা হচ্ছে, তা যেন নিরাপদ ও পুষ্টিকর হয়—সে বিষয়ে একমত হয়েছেন সব দেশের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের কৃষি এখন যথেষ্ট উন্নত। তবু সম্মেলনে আলোচিত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনের যথেষ্ট সুযোগ বাংলাদেশের রয়েছে। কেননা বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানীরা যথেষ্ট মেধাসম্পন্ন ও বাস্তববাদী। বঙ্গবন্ধুই অনেক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য স্থাপন করে দিয়ে গেছেন। একই সঙ্গে তিনি কৃষিতে বিনিয়োগও অন্য খাতের চেয়ে বেশি করেছেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে মোট সরকারি বিনিয়োগের ২৪ শতাংশই কৃষির জন্য তিনি বরাদ্দ করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যাও একইভাবে কৃষি অন্তপ্রাণ। তিনিও কৃষিতে বিনিয়োগ বা ভর্তুকি প্রতি বাজেটে বাড়িয়েই চলেছেন। আর জলবায়ু সহায়ক কৃষির বিকাশে তিনি বরাবরই নিবেদিত। প্রেক্ষাপট পরিকল্পনা, বদ্বীপ পরিকল্পনা এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় তিনি সবুজ প্রবৃদ্ধি তথা জলবায়ু সহায়ক কৃষির উন্নতির প্রশ্নে খুবই তৎপর। তা ছাড়া আমাদের কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা, অসরকারি প্রতিষ্ঠান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মিলেই তো মাথাপিছু চালের উৎপাদন ১৯৭৩ সালের ১৪০ থেকে ২০১৮ সালে ২৪০ কেজিতে উন্নীত করেছেন। এই সময়ে মাছের মাথাপিছু উৎপাদন বেড়েছে ১১ থেকে ২৫ কেজিতে। মাংস তিন থেকে ৪৪ কেজিতে। ডিম ১৫ থেকে ১০১টিতে। দুধ ছয় থেকে ৫৮ কেজিতে। এ সবই সম্ভব হয়েছে সরকারসহ সব অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নেওয়া ‘হোমগ্রোন সলিউশন’-এর মাধ্যমে।

সহায়ক সরকারি নীতি, মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণকর্মীদের লেগে থাকা, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনীমূলক ব্যক্তি খাত মিলেই এই সাফল্য অর্জন করা গেছে। এই সাফল্য বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মণ্ডলেও পৌঁছে গেছে। গত বছর নভেম্বর মাসে ‘প্যারিস পিস ফোরাম’-এর এক সংলাপে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা এই সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন। এই বাস্তবতায় কৃষির সব কটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই তার সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ দেখতে চাই। সে জন্য আমাদের কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে।

১. জমির সাশ্রয়ী ও টেকসই ব্যবহার অপরিহার্য। কারণ চাষযোগ্য জমি কমে আসছে। শিল্পায়ন ও নগরায়ণের জন্য ভূমির ব্যবহারে তাই সতর্কতা খুবই জরুরি।

২. বাংলাদেশের কৃষি এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে। বাণিজ্যিক কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি উৎপাদন প্রক্রিয়ার দিকে মনোযোগ রেখে নয়া কৃষির নয়া উপকরণ (যেমন—গরুর জন্য উন্নত প্রজাতির ঘাস) উৎপাদনে জোর দিতে হবে।

৩. বাংলাদেশের খাদ্যশিল্প আপাতদৃষ্টিতে যথেষ্ট বিকশিত হলেও এটি এখনো প্রায় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। নিজস্ব কৃষিকে তাই খাদ্যশিল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে ফরওয়ার্ড লিংকেজ দাঁড় করাতে হবে।

৪. ঊর্ধ্বমুখী কৃষিসহ জলবায়ুবান্ধব আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর (ইন্টারনেট অব থিংস, গ্রিনহাউস ফার্মিং, মাল্টিস্টোরিড ক্যাটল ফার্মিং, ছাদ কৃষি ইত্যাদি) কৃষির দিকে ঝুঁকতে হবে।

৫. কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তারা যেন ন্যায্য মূল্য পান, তা নিশ্চিত করতে যথাযথ নীতি সহায়তা ও প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। মনিটরিং জোরদার করা ও সাপ্লাই চেইন মসৃণ করার মাধ্যমে কৃষিপণ্যের দাম স্থিতিশীল করা যাবে।

৬. গতিময় ও কৃষকবান্ধব আধুনিক বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে (শিক্ষিত তরুণরা ই-কমার্স হিসেবে কৃষকদের নগরের ভোক্তাদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে)।

৭. ইউনিয়ন পর্যায়ে যে ডিজিটাল সেন্টারগুলো স্থাপিত হয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে কৃষি তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ সহজ করতে হবে। সারা দেশের কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ইন্টেলিজেন্ট ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম’ গড়ে তুলে তা কেন্দ্রীয়ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়। একটি ইলেকট্রনিক বাজার কাঠামো গড়ার ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হবে।

৮. কৃষি উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ আরো বাড়াতে হবে। যান্ত্রিকীকরণের গতি আরো বাড়াতে হবে।

৯. শিক্ষিত তরুণদের কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রচলিত নীতি সহায়তার (যেমন—স্টার্টআপ তহবিল, ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ) একটি বিশেষ অংশ তাদের জন্য বরাদ্দ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত হবে।

১০. গবাদি পশু ও মাছ চাষে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কৃষি গবেষণায় ব্যক্তি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ‘ক্রস-সাবসিডিয়ারি’র সুযোগ সৃষ্টি করা বাঞ্ছনীয়।

১১. কৃষি অর্থায়ন এবং এ খাতে প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সফল মডেল এরই মধ্যে বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হয়েছে। এসব অভিজ্ঞতা এবং এগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার মিশেলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবায়নযোগ্য মডেল দাঁড় করানো দরকার। বিশেষত গবাদি পশু পালন এবং জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য।

১২. সবজি সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ এখনো তীব্র। পরিবহনের খরচও বেশি। তাই গ্রাম পর্যায়ে ছোট আকারের ‘কোল্ড স্টোরেজ’ এবং সস্তায় রেল পরিবহন (আমের মতো) সুযোগ বৃদ্ধির দিকে নজর কাম্য।

১৩. কৃষিকে জলবায়ুবান্ধব করার জন্য কৃষিশিক্ষা, গবেষণা, উদ্যোক্তা তৈরি এবং বাজার উন্নয়নের বিষয়ে আরো নীতি মনোযোগ প্রত্যাশিত।

১৪. প্রত্যন্ত অঞ্চল; যেমন—চর, হাওর, উপকূল ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষির জন্য উপকরণ ও প্রযুক্তি সরবরাহ থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সব ধাপের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

১৫. কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ, খাদ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা, বাণিজ্য, অর্থ ও পরিকল্পনার সমন্বয় খুবই জরুরি। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের (এফএও) সহযোগিতাও খুবই দরকারি বলে মনে হয়।

চ্যালেঞ্জ থাকবেই। তবে আমাদের সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই টেকসই ও আধুনিক কৃষির দিকে হাঁটতে হবে।

লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/2727 ,   Print Date & Time: Friday, 6 June 2025, 08:53:24 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh