• হোম > অর্থনীতি | ডিজিটাল লাইফ | স্টার্ট আপ > ই-ক্যাব ক্রেতাদের সার্থে কাজ করে যাচ্ছে।

ই-ক্যাব ক্রেতাদের সার্থে কাজ করে যাচ্ছে।

  • শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০, ২৩:১৪
  • ১২০৬

ই- কমার্স এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ

Jahangir Alam Shovon

গত জানুয়ারী মাসে পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ই-কমার্সে প্রতারণা শিরোনামে। অনেক কথা তুলে ধরা হয়। কিন্তু কোন কোম্পানী কবে কখন কাকে প্রতারণা করেছে তার কোনো উল্লেখ নেই। ভাল কথা হলো এটা নিয়েও কাজ শুরু করে ডিবি পুলিশ। ডিবির একজন অফিসারের সাথে ৩ দফা বৈঠক এবং ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হয়।
অনলাইন প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারী নিয়ে অভিযোগ আছে। এগুলো অনুপাতে কমেছে কিন্তু সংখ্যায় হয়তো বেড়েছে। যেমন আগে যদি শতকরা ৪ টাতে অভিযোগ আসতে এখন হয়তো সেটা ১টাতে নেমে এসেছে। কিন্তু আগে যদি দৈনিক ৪০ টা ঘটনা ঘটতো এখন হয়তো ১০০ টা। অবাক কান্ড হলেও সত্য আগেও ক্রেতারা আইনের আশ্রয় নেয়ার চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করতে অভ্যস্ত ছিল, এখনো তাই।
গত ১ বছর ধরে ইভ্যালীর নামে প্রচুর অভিযোগ হচ্ছে কিন্তু কোনো নিউজ নেই। যদি ই-ভ্যালী সত্যিকার অর্থে কোনো নিয়ম লঙ্গন করে থাকে সে সংবাদ প্রকাশ পেতে কেন দেড় বছর লাগলো। আর কেন সরকারী প্রতিষ্ঠান বেসরকারী ব্যাংক নিজেরা কোনো কিছু না দেখে পত্রিকার নিউজের উপর ভরসা করল? এতে কি প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা সদিচ্ছা ও পদ্ধতিগত বিষয় নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আসবেনা?
আজ ই-ক্যাবের ভূমিকা জানতে চেয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। অথচ ই-ক্যাব ক্রেতাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিশেষ করে মার্চ মাস থেকে মুভ করছে ক্রেতাস্বার্থ নিয়ে। এর মধ্যে গত ১ জুন ইভ্যালীসহ কয়েকটি কোম্পানীর সাথে দ্বিপাক্ষিক মিটিং করা হয়েছে। ক্রেতাদের এসব সমস্যা সমাধানের জন্য। যদিও অনেক সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি। কিন্তু এটা নিয়ে ই-ক্যাব সবার আগে কাজ শুরু করেছে। এবং এজন্য কোনো পত্রিকার প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া কিংবা কোনো ব্যাংকের পক্ষ থেকে গেটওয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্তের জন্য ই-ক্যাবে অপেক্ষা করেনি।
এখন যেসব ব্যাংক বা সরকারী প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র পত্রিকার প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে সেবা দিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে তারা এতদিন চুপই ছিল। যদিও প্রতিটি প্রতিবেদন এবং প্রতিটি অভিযোগের উপর তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু তদন্ত হওয়ার আগে বিজনেস অপারেশন বন্ধ করার যৌক্তিকতা কতটুকু? বিশেষ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন তাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রসতুত এমনকি তদন্তের স্বার্থে সব ব্যাংক হিসেবের ডিটেইল দিতে প্রস্তুত, আইনের কাছে বিজনেস মডেল জানাতে প্রস্তুত, এমনকি কেউ যদি এমন আশংকা করেন কোম্পানী ভেগে যাবে তাহলে তাদের পাসপোর্টও জমা দিতে রাজি আছে। অতীতে কেউ এতটা সহযোগি মনোভাব দেখিয়েছে কিনা জানি না। তবুও তাদের ব্যাংক হিসেব জব্দ করে তাদেরকে সমস্যায় ফেলা, অন্য উদ্যেক্তাদের ভীতির মধ্যে রাখা, সাপ্লা্য়ারদের টেনশন বাড়ানো আর ক্রেতাদের হতাশ করার মাঝে কি অর্জন থাকতে পারে? বলা বাহুল্য কোনো কোম্পানী যদি কোনো অন্যায় করে আইন লঙ্গন করে সে দায় তারা নিতে বাধ্য। এবং শাস্তিও হতে পারে। কোনো ভুল সিদ্ধান্তের কারণে পুরো ইন্ডাস্ট্রি যদি পিছিয়ে পড়ে এর দায় কে নেবে?


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/2242 ,   Print Date & Time: Friday, 6 June 2025, 08:24:59 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh