• হোম > আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স | বিদেশ > অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন মানব শরীরে প্রয়োগ।

অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন মানব শরীরে প্রয়োগ।

  • শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০, ০৬:৩৫
  • ৯৭৫

এলিসা গ্রানাতো

অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটির একদল বিজ্ঞানীর তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন মানব শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। ইউরোপ মহাদেশে এই প্রথম নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোন ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য মানব শরীরের প্রয়োগ করা হল। খবর বিবিসি।

এই ভ্যাকসিনটি পরীক্ষার জন্য ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুই জনের শরীরের প্রথম প্রয়োগ করা হয় এ ভ্যাকসিন। এখন এ দুজনকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন বিজ্ঞানীরা। আগামী মে মাস নাগাদ আরও ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরের প্রয়োগ করা হবে অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটির তৈরি ভ্যাকসিনটি।

বৃহস্পতিবার দুজন ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর একজন এলিসা গ্রানাতো বলেন, আমি নিজে একজন বিজ্ঞানী। তাই আমি বৈজ্ঞানিক এ কর্মকাণ্ডকে সাহায্য করতেই ভ্যাকসিনটি নিতে রাজি হয়েছি।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট এই পরীক্ষা পর্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ভ্যাকসিনটি মাত্র তিন মাসেরও কম সময়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি দল প্রস্তুত করেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই ভ্যাকসিনটির সফলতার ব্যাপারে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী।

তিনি বলেন, এখন অবশ্যই আমরা এটি পরীক্ষা করব। মানব শরীরের কীভাবে কাজ করে সেই তথ্য আমরা সংগ্রহ করব। সবার জন্য ব্যবহার নিশ্চিত করতে আগে আমরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিছু রোগীর শরীরের এটি প্রয়োগ করবো এবং জানবো এটি কতটুকু কার্যকর।

এর আগে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হেনকক ভ্যাকসিনটির ব্যাপারে বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়াটি হলো- একটি ‘ট্রায়াল এন্ড অ্যারর’ প্রক্রিয়া। বারবার পরীক্ষা করে ভুলগুলো চিহ্নিত করে ভ্যাকসিন নিখুঁত করা হয়। এটাই হলো ভ্যাকসিন তৈরির নিয়ম।

অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটির এ বৈজ্ঞানিক দলের জন্য ২ কোটি পাউন্ড বরাদ্দ করার ঘোষণাও দেন তিনি।

করোনার এই ভ্যাকসিন নিয়ে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা খুবই আশাবাদী। অধ্যাপক গিলবার্ট জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনটির সফলতার ব্যাপারে তিনি ৮০ ভাগ আশাবাদী। ইতিমধ্যে এই ভ্যাকসিনটি প্রাণীদেহে প্রয়োগ করে দারুণ ফল পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার মানবদেহে প্রয়োগ করে ইতিবাচক ফল আসলে প্রাথমিকভাবে এ ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ বানাবে অক্সফোর্ড। কয়েক মাসের মধ্যেই এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়া নভেল করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়েছে। এ ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন বা ওষুধ এখনও তৈরি করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বিশ্বজুড়ে ৭০টি ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে খুব কমই মানব শরীরের প্রয়োগ করে পরীক্ষার পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/1800 ,   Print Date & Time: Saturday, 7 June 2025, 08:18:00 AM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh