• হোম > ইউরোপ | বিদেশ > গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা: ব্রিটেন বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও গবেষকদের ‘দ্রুত ও সহজ’ পদ্ধতিতে ভিসা দেবে

গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা: ব্রিটেন বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও গবেষকদের ‘দ্রুত ও সহজ’ পদ্ধতিতে ভিসা দেবে

  • সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০, ২১:৪৭
  • ৭৯২

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

আগামী মাস থেকে ব্রিটেন বিজ্ঞানী, গণিতবিদ আর গবেষকদের দ্রুততম সময়ে ভিসা দেয়ার নতুন এক ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা নামে নতুন এই ভিসা ব্যবস্থা চালু হবে ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে।

এই ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতার শর্ত হলো - বিজ্ঞান, গণিত ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা বর্তমানে গবেষণার কাজ করছেন এবং যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেটি যদি ব্রিটিশ কোন স্বীকৃত কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হয়, তাহলে তিনি এ ভিসা পাবেন।

বরিস জনসন বলেছেন, তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যে “বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী মানুষদের জন্য যুক্তরাজ্যের দরজা খোলা।”

অন্য দুটো প্রধান রাজনৈতিক দল লেবার পার্টি এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিকরা অবশ্য এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ক ঘোষণায় মি. জনসন বলেন, “বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে যুক্তরাজ্যের গৌরবজনক ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু তাতে নেতৃত্ব দেয়া এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের মেধাবী মানুষ খুঁজে বের করা এবং গবেষণায় বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “এখন যেহেতু আমরা ইইউ ছাড়তে যাচ্ছি, তাই আমি সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই যে বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী মানুষদের জন্য যুক্তরাজ্যের দরজা খোলা। তাদের আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা আমাদের সমর্থন চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।”

এর আগে গত মাসে মি. জনসনঘোষণা করেছিলেন যে সারা পৃথিবীর “বিজ্ঞানীদের চুম্বকের মত আকর্ষণ” করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তবে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার অধীনে বছরে কত মানুষকে ভিসা দেয়া হবে, তা জানানো হয়নি।
এর আগে এ সংক্রান্ত যে ব্যবস্থা ছিল তাতে বছরে অনুর্ধ্ব দুই হাজার ভিসা দেয়া হতো।

লিব-ডেমরা বলছে, আগের ব্যবস্থায় কখনোই দুই হাজার লোককে ভিসা দেয়া হতো না এবং নতুন ব্যবস্থা বৈপ্লবিক কোন পরিবর্তন আনবে না।

দলটির মুখপাত্র ক্রিস্টিন জার্ডাইন বলছেন, “কোন ভিসার নাম বদলে দিলেই এবং নির্দিষ্ট একটি সংখ্যার সীমারেখা তুলে দিলেই তাকে সিরিয়াস কোন পরিকল্পনা বলা যায় না।”

ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়ার পর ভিসা আবেদন যাচাই ও প্রদানের কাজটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলে ইউকে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন এজেন্সি বা ইউকেআরআই করবে।

এই প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা খাতে সরকারি অর্থায়ন দেখভাল করে।

এর ফলে যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন দ্রুত যাচাই এবং পুরো ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।


This page has been printed from Entrepreneur Bangladesh - https://www.entrepreneurbd.com/106 ,   Print Date & Time: Friday, 6 June 2025, 08:18:05 PM
Developed by: Dotsilicon [www.dotsilicon.com]
© 2025 Entrepreneur Bangladesh